উজ্জীবিত বিডি রিপোর্ট:- বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নস্থ ছোটবাগে বাস করা দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারজানা আক্তার (১০) কে ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামী মনির সিকদার (৩০) কে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ভাংড়া এলাকা থেকে বন্দর থানাধীন ধামগড় পুলিশ ফাাঁড়ির উপ পরিদর্শক নাহিদ মাসুম সহ এএসআই এজাজুল ও কনস্টেবল আরিফ ১৫ই মার্চ শুক্রবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামী মনিরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার দেলোয়ার হোসেন রাজমিস্ত্রী পেশায় কাজ করার সুবাদে মদনপুর ইউনিয়নস্থ ছোটবাগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। পটুয়াখালীর জেলার বাউফল থানার মোতাহার শিকদারের ছেলে মনির সিকদার (৩০) মদনপুর ইউনিয়নস্থ চাঁনপুরে ভাড়া থাকে এবং একই জেলার হওয়াতে মনির প্রায়ই দেলোয়ারের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। ০৩/০৩/১৯ তারিখে প্রতিদিনের মত দেলোয়ার ও তার স্ত্রী কর্মস্থলে চলে গেলে মেয়ে ফারজানা বাসায় একা ধাকার সুবাদে দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে মনির উক্ত ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বাসায় আসার পর বিষয়টি তারা মেয়ের কাছ থেকে জানতে পেরে প্রথমে মদনপুর বারাকাহ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢামেকে নিয়ে চিকিৎসা করানো হলে ১৩/০৩/১৯ তারিখে সেখান থেকে ছাড়পত্র পায় এবং বন্দর থানায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মনির শিকদারকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ করলে তার তদন্ত সাপেক্ষে থানায় বিষয়টির উপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নথিভূক্ত করা হয়। যার নম্বর-৪৪/১৪.০৩.২০১৯। সে প্রেক্ষিতে বাউফল থানা পুলিশের সহায়তায় ধামগড় পুলিশ ফাাঁড়ির উপ পরিদর্শক নাহিদ মাসুম সহ সঙ্গিয় ফোর্স মনিরকে বাউফল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।